Wikipedia

Search results

Tuesday, 1 September 2020

লাইভ চলাকালে সাংবাদিককে বাঁধা ও লাঞ্ছিত: বিএমএসএফ’র তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ



 ময়মনসিংহে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বাঁধা ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির নেতৃবৃন্দ। হামলা ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারেরও দাবি করা হয়।

এক সংবাদ বিবৃতিতে বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর শাস্তি দাবি করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, দূর্ণীতিবাজদের পথেরদাবী কাটা কেবল সাংবাদিকরা। এই সাংবাদিকদের স্তব্ধ করে দিতে পারলেই রাষ্ট্রকে লুটপুটে খেতে আর বাঁধা দেয়ার কেউ থাকবেনা। প্রাপ্ততথ্যে জানাগেছে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার নূন্যতম সেবা বলতে কিছু নেই। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে সেবা। স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের সিন্ডিকেট কোনভাবেই চলতে পারেনা। ঐ খবর প্রচার করতেই সাংবাদিকরা সেখানে গিয়েছিলো। সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগের এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারকে এখনই ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

উল্লেখ্য, ৩১ আগস্ট নিউজ ২৪ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ময়মনসিংহে কর্মরত সৈয়দ নোমান সোমবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান পেশাগত কাজে। সকাল সোয়া ১০ টার দিকে ভবনের সামনে থেকে করোনায় চিকিৎসা ব্যবস্থার আপডেট জানিয়ে টেলিভিশনে লাইভ দেয়ার সময় তাকে বাঁধা দেয় আবুল কালাম আজাদ নামে এক লোক।

এসময় সে আজাদ নিজেকে হাসপাতালের আউটসোর্সিং এর ডিরেক্টর পরিচয় দিয়ে লাইভ করতে নিষেধ করে। যা ঠিক লাইভ শুরু করার আগ মূহুর্তে। এসময় সাংবাদিক নোমান পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে প্রতিকূলতা কাটিয়ে লাইভটি শেষ করেন। পরে কালামের কাছে কাজে বাঁধা প্রদান করার কারন জানতে চান।

এ সময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক সমাজকে নিয়ে যাচ্ছেতাই মন্তব্য করেন। জানতে চান কার অনুমতি নিয়ে লাইভ করা হচ্ছে? এক পর্যায়ে ক্যামেরাকে নিয়েও টানা হেঁচড়া করে সিফাত নামের আরেক সুপারভাইজার। দীর্ঘক্ষণ শ্বাসানোর পর তারা হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে যাবার চেষ্টা চালায় নোমান এবং নিউজ টুয়েন্টিফোরের ক্যামেরা পার্সন শৈবাল দাসকে।

ঘটনার শুরুতেই নোমান বিষয়টি হাসপাতালের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে অবগত করলে সেখান থেকেও অবহেলিত হন। অবশেষে দীর্ঘক্ষণ ধৈর্যবান হয়ে হেনস্থাই মাথা পেতে নিয়ে সেবার আশ্রয়স্থল থেকে ফিরে আসেন সাংবাদিকরা।

এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি দেশব্যাপী দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলারও হুমকি দেয়া হয়।

No comments:

Post a Comment