Wikipedia

Search results

Thursday, 3 September 2020

রংপুরের দাবানল সম্পাদকের মৃত্যুতে বিএমএসএফ'র গভীর শোক প্রকাশ

 



ঢাকা ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০: দৈনিক দাবানল সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক এমপি খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল আর নেই। আজ ৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)।


 তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম। গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ গভীর শোক প্রকাশ করেন। মরহুমের রুহের মাগফেরাতের জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে সকলের নিকট দোয়া চাওয়া হয়েছে। 


তবে তার জানাযা ও দাফনের সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।

"কানাইঘাট উপজেলা আনসার ও ভিডিপি বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন,,

সিলেট


প্রতিনিধিঃখাদ্য নিরাপত্তা ও পরিবেশ রক্ষায় বেশি করে গাছ লাগান” প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত ও  কর্মসূচি অংশ হিসাবে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের সম্মুখে  বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।


আজ  সকালে  আনসার ও ভিডিপি  কানাইঘাট উপজেলা অফিস এর আয়োজনে উক্ত এলাকায় কর্মসূচির উদ্বোধন করেন আনসার ও ভিডিপি কানাইঘাট উপজেলার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মাজহারুল ইসলাম। 


এসময় বক্তরা বলেন,বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী  যেকোন দেশের জন্য খুবই তাৎপর্যবহ।যেকোন দেশের জন্য মূল ভূখন্ডের শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা বাঞ্ছনীয়। কেননা বনভূমি দেশকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে বাঁচায় এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে। বৃক্ষের গুরুত্ব উপলব্ধি করে অধিক বৃক্ষ রোপণের জন্য আমাদেরকে তৎপর হতে হবে।তাই আসুন প্রত্যেককে বাড়ীর আনাচেকানাচে, রাস্তার দুপাশে,পুকুরপাড়ে, নদীতীরে সর্বত্র বৃক্ষ রোপন করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাবের মানাবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক মুফিজুর রহমান নাহিদ,

উপজেলা আনাসার কামান্ডার  ইসলাম উদ্দিন,  উপঃ মহিলা কামান্ডার হাসনা বেগম প্রমুখ।

Wednesday, 2 September 2020

কানাইঘাটে বিএনপি'র ৪২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত,,

 বিশেষ প্রতিনিধি:

 সিলেটের কানাইঘাটে বিএনপির ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১লা সেপ্টেম্বর রাতে পৌর যুবদলের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্যদিয়ে দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।  এসময় বক্তারা বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক। তার নিজ হাতে গড়া তোলা রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আজ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ১৯৭৮ সালের এই দিনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা আজ এগিয়ে চলেছি।


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে এবং আগামীতেও করে যাবে। পরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার শান্তি কামনা করে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে সংক্ষিপ্ত আকারে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি জাকারিয়া হাবিবের সভাপতিত্বে ও পৌর যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক রুবেল আহমেদ এর পরিচালনায় প্রধান অথিতি হিসাবে উপস্তিত ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহ সমবায় বিষয়ক সম্পাদ ও কানাইঘাট উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম, বিশেষ অথিতি হিসাবে উপস্তিত ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ও কানাইঘাট পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হোসেন বুলবুল, কানাইঘাট পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য শফিক আহমেদ, পৌর বিএনপির সদস্য জালাল আহমেদ, সদস্য আলমাছ উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি এম সাজ্জাদুর রাহমান সাজ্জাদ,সিলেট জেলা ছাত্রদল নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, পৌর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন রশিদ মামুন, যুগ্ম সম্পাদক হেলাল আহমেদ, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সেলিম আহমেদ রনি, ৫নং ইউপি যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক শামিম হোসেন বাদল, ৩নং ইউপি যুবদলের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবদিন, ৪নং ইউপি যুবদল নেতা জিল্লুর রহমান ফারুকী, ২নং ইউপি যুবদল নেতা সাইফুর রহমান, ২নং ইউপি যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, পৌর যুবদল নেতা মারুফ আহমেদ, উপজেলা যুবদল নেতা রুহেল আহমেদ চৌধুরী, উপজেলা যুদলনেতা জাহিদ আহমেদ, উপজেলা যুবদল নেতা আসাদুজ্জামান, পৌর যুবদল নেতা শামিম আহমেদ, যুবদল নেতা নুরুল আমীন, সাবেক ছাত্রদল নেতা রুহুল ইসলাম, যুবদল নেতা মাসুদূর রহমান মাসুম, কানাইঘাট পৌর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এম, এইচ আল-আমিন,কানাইঘাট সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক রাসেল চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রদল নেতা শাহ আলম, সিলেট সরকারী কলেজ ছাত্রদল নেতা  শিপলুজ্জামান, কলেজ ছাত্রদল নেতা রেজওয়ানুল করিম, কলেজ ছাত্রদল নেতা প্রিন্স সোহেল, পৌর ছাত্রদল নেতা মুমিন রশিদ, ছাত্রদল নেতা আব্দুল করিম চৌধুরী, সালমান আহমেদ,আখতারুজ্জামান, হিফজুর রহমান, মারুফ আহমেদ, সামিম আহমদ, ফখরুল ইসলাম ফজু, নজরুল উসলাম, সেলিম আহমেদ ভেনি, এ এস আমান, এস.কে শাকিল, ৭১ প্রজন্ম নেতা আবুল হারিছ, কামিল আহমেদ, মাহাত ফয়েজ, আশরাফ আহমেদ, শাকিব আহমেদ, শিহাব মুন্না, বখতিয়ার আহমেদ, রাজু আহমেদ, ইমরান আহমেদ প্রমুখ।


Tuesday, 1 September 2020

লাইভ চলাকালে সাংবাদিককে বাঁধা ও লাঞ্ছিত: বিএমএসএফ’র তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ



 ময়মনসিংহে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বাঁধা ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির নেতৃবৃন্দ। হামলা ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারেরও দাবি করা হয়।

এক সংবাদ বিবৃতিতে বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর শাস্তি দাবি করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, দূর্ণীতিবাজদের পথেরদাবী কাটা কেবল সাংবাদিকরা। এই সাংবাদিকদের স্তব্ধ করে দিতে পারলেই রাষ্ট্রকে লুটপুটে খেতে আর বাঁধা দেয়ার কেউ থাকবেনা। প্রাপ্ততথ্যে জানাগেছে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার নূন্যতম সেবা বলতে কিছু নেই। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে সেবা। স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের সিন্ডিকেট কোনভাবেই চলতে পারেনা। ঐ খবর প্রচার করতেই সাংবাদিকরা সেখানে গিয়েছিলো। সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগের এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারকে এখনই ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

উল্লেখ্য, ৩১ আগস্ট নিউজ ২৪ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ময়মনসিংহে কর্মরত সৈয়দ নোমান সোমবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান পেশাগত কাজে। সকাল সোয়া ১০ টার দিকে ভবনের সামনে থেকে করোনায় চিকিৎসা ব্যবস্থার আপডেট জানিয়ে টেলিভিশনে লাইভ দেয়ার সময় তাকে বাঁধা দেয় আবুল কালাম আজাদ নামে এক লোক।

এসময় সে আজাদ নিজেকে হাসপাতালের আউটসোর্সিং এর ডিরেক্টর পরিচয় দিয়ে লাইভ করতে নিষেধ করে। যা ঠিক লাইভ শুরু করার আগ মূহুর্তে। এসময় সাংবাদিক নোমান পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে প্রতিকূলতা কাটিয়ে লাইভটি শেষ করেন। পরে কালামের কাছে কাজে বাঁধা প্রদান করার কারন জানতে চান।

এ সময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক সমাজকে নিয়ে যাচ্ছেতাই মন্তব্য করেন। জানতে চান কার অনুমতি নিয়ে লাইভ করা হচ্ছে? এক পর্যায়ে ক্যামেরাকে নিয়েও টানা হেঁচড়া করে সিফাত নামের আরেক সুপারভাইজার। দীর্ঘক্ষণ শ্বাসানোর পর তারা হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে যাবার চেষ্টা চালায় নোমান এবং নিউজ টুয়েন্টিফোরের ক্যামেরা পার্সন শৈবাল দাসকে।

ঘটনার শুরুতেই নোমান বিষয়টি হাসপাতালের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে অবগত করলে সেখান থেকেও অবহেলিত হন। অবশেষে দীর্ঘক্ষণ ধৈর্যবান হয়ে হেনস্থাই মাথা পেতে নিয়ে সেবার আশ্রয়স্থল থেকে ফিরে আসেন সাংবাদিকরা।

এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি দেশব্যাপী দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলারও হুমকি দেয়া হয়।

Monday, 31 August 2020

৭নংইউপিকে  মাদক,সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত মডেল  হিসাবে গড়ে তুলতে চানঃসম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী  বাবুল রানা চৌঃ,,

 মুফিজুর রহমান নাহিদ সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধিঃআসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কানাইঘাট উপজেলার ৭নং দক্ষিণ বাণিগ্রাম ইউনিয়নে উৎসবমুখর পরিবেশে সৃষ্টি হয়ছে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে জনগণের উৎবে আর উৎকণ্ঠা ততই বাড়ছে।

সিলেটের কানাইঘাট  উপজেলার ৭নং দক্ষিণ বাণিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ঘোষণা দিয়েছেন কানাইঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সিনিয়র সদস্য, সমাজ সেবক, গরিব -দুঃখী মেহনতি মানুষের বন্ধু,বাবুল রানা চৌধুরি। তিনি জানান- আমি আগামী  ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭নং বাণিগ্রাম ইউনিয়নে নির্বাচন করব। ৭নং দক্ষিণ বাণিগ্রাম  ইউনিয়নকে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তুলবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমি দক্ষিণ বাণিগ্রাম ইউনিয়নবাসীর ভালবাসা নিয়ে দীর্ঘদিন আওয়ামী রাজনীতি করে মানুষের সেবা করে আসছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আজ উন্নয়নের জোয়ার বইছে। তিনি আরো বলেন, ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সাধারণ মানুষের সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। প্রতিটি নির্বাচনে ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে সুসংগঠিত রয়েছি। এজন্য চেয়ারম্যান পদে আমি দলের সমর্থন চাইবো।

তিনি ৭নংদক্ষিণ বাণিগ্রাম ইউনিয়নবাসির সহযোগিতা কামনা করেছেন। সাথে সাথে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে ইউনিয়নবাসির কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। এছাড়াও তিনি এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন। এলাকায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।প্রবাস জীবনের শুরু থেকে তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততার পাশাপাশি প্রবাসী ৭নং দক্ষিণ বাণিগ্রাম ইউনিয়ন বাসির সুখ – দুঃখে সর্বদা পাশে রয়েছেন। কিন্তুু  বাবুল রানা চৌধুরিপ্রবাসে তার কার্যক্রম কে থেমে রাখেন নি , তিনি সুযোগ পেলেই চলে যান নিজ এলাকা ৭নং দক্ষিণ বাণিগ্রামে ইউনিয়নে  । সেখানকার মানুষের সুখ দুঃখ হাসি কান্না কে তিনি আপন চিত্তে গ্রহন করে তাদের সেবা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । তিনি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও দলীয় কর্মকান্ড সহ একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন দলীয় নেতাকর্মি সহ সাধারন মানুষের সাথে মতবিনিময় ও গনসংযোগ করে যাচ্ছেন।এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেল। আমি নির্বাচিত হতে পারলে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা মূলক গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন তথা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তাঘাট, কালভাট, মসজিদ মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেকার যুবক যুবতীদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলার কাজ করব। নারী ও শিশু নির্যাতন, পাচার, এসিড সন্ত্রাস, বাল্য বিবাহ এবং মাদক, চোরাচালানের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলবো। সর্বপরি সকলের সহযোগীতায় ৭নং দক্ষিণ বাণিগ্রাম ইউনিয়নকে একটি আলোকিত মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, দল  ও জনগণ আমাকে সমর্থন দিলে এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমি জয়লাভ করব ইনশাআল্লাহ। ৭নং দক্ষিণ বাণিগ্রাম ইউনিয়নের জনগণের প্রতি আমার শতভাগ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে এবং নির্বাচিত হলে জনসাধারণের সকল প্রকার নাগরিক সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।


Saturday, 15 August 2020

সাংবাদিকতার সোর্সকে আজ উলঙ্গ করা হচ্ছে..



আজকাল প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাংবাদিকতার সোর্সকে উলঙ্গ করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের কাছে তথ্য দিলেই সোর্সকে নিরাপত্তাহীন করে তোলা হচ্ছে। যা রীতিমত সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা পরিপন্থী। সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসন সাংবাদিকদের তার সোর্স বা স্বাক্ষীসহ উপস্থিত হয়ে তথ্য প্রদান কিংবা জবাব দিতে প্রস্তুত কিনা সেটিই মূখ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। অহরহ বিভিন্ন জেলায় ধরনের নোটশ সাংবাদিকদের কাছে আসছেই। সম্প্রতি দুদকে অনুরুপ নোটিশ দেয়ারপর সাংবাদিক সংগঠনের তোপের মুখে চিঠি প্রত্যাহার করতেও বাধ্য হয়েছিলেন। 

এ ধরনের কার্যকলাপের তীব্র বিরোধীতা করছে সাংবাদিকদের মর্যাদা ও অধিকার আদায়ের সংগঠন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি। 

গণমাধ্যমকে নিয়ে এসব কী হচ্ছে? দূর্ণীতিবাজরা গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরতেই নিত্য নতুন ফন্দি শুরু করছে দূর্ণীতির বরপুত্ররা ।

 সেটি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ছিল; যখন সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করতো। জনগণ সুফল পেত। আর এখন সংবাদ প্রকাশের পর উল্টো সাংবাদিককে হয়রাণীর জন্য তার সোর্সসহ প্রশাসনের নিকট টাইম টেবিলমত হাজির হতে বলা হয়। যেন সাংবাদিকরা তার অধস্তন চাকরীজীবি।  যা নির্মম দূ:খ এবং হতাশাজনক।

যদ্দুর জানাযায়, সাংবাদিকরা নিশ্চিত মৃত্যুর কাছে হার মানবে অথচ তার সোর্সের নাম প্রকাশ করবেন না। কিন্তু প্রশাসন কি শুরু করলো? নোটিশ দিয়ে সোর্স সহ হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হল লালমনিরহাটের বাংলা নিউজের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি খোরশেদ আলম সাগরকে। যেখানে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করে ওসির ঘুষ গ্রহনের সংবাদের অডিও- ভিডিও ভাইরাল ইতিমধ্যে। তবুও ওসি মাহফুজ আলমকে ঢাকায় ষ্ট্যান্ড রিলিজ করে সম্মান বড় করা হয়েছে। এ ধরনের অপকর্ম করার পর তাকে খাগড়াছড়ি কিংবা বান্দরবানে না পাঠিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে তার ওজন আরেকদফা বাড়িয়ে দেয়া হল নয় কি! জেলা পুলিশ প্রধান আবিদা সুলতানার নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাংবাদিক খোরশেদ আলম সাগরের ব্যক্তিনামে তাকে নোটিশ করা হয়। আগামিকাল ১৬ আগস্ট তাকে তথ্যপ্রমানসহ হাজির হতে বলা হয়।

 তারপরও কেন সাংবাদিকতার মাথা খেতে তার সোর্স আপনার নিকট উপস্থাপন করতে হবে? সাংবাদিকরা আপনার নিকট তার সোর্স উপস্থাপন করতে বাধ্য নন। আপনি প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা যাচাই-বাছাই করুন। পারলে ওসিকে জিজ্ঞাসাবাদ করুন এবং শাস্তি দিন। জানি পারবেন কিনা! কারন তার আয়ের ওপর আপনাকে চলতে হয়। 

অন্যদিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ইত্তেফাক ও মাইটিভি প্রতিনিধি আসাদ উল্লাহ মাদকে সয়লাব গজারিয়া শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশের জেরধরে নারায়নগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো: মোস্তাফিজুর রহমান গত ৪ আগস্ট অনুরুপ একখানা  নোটিশ পাঠিয়েছেন। 
নোটিশ অনুযায়ী তাকে নিজ খরচে কোরবানী ঈদের দুদিন আগে ৮০ কিলোমিটার যানজট ডিঙ্গিয়ে একজন এএসআইর সাথে নারায়নগঞ্জে এবং নরসিংদীতে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। কি আশ্চয্য! অভিযুক্ত পুলিশের সঙ্গে একই টেবিলে সাক্ষ্য দিতে হয়েছিল সাংবাদিক আসাদ উল্লাহকে। পুলিশের পক্ষ থেকে সোর্সের নিরাপত্তার কথা বলা হলেও এখন অদৃশ্য কারনে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে আসাদ বিএমএসএফকে নিশ্চিত করেছেন। অথচ সেই অভিযুক্ত পুলিশের কর্মকর্তারা বহাল তবিয়তেই রয়েছেন। 

এখন প্রশ্ন সংবাদ প্রকাশের পর কেনো সাংবাদিককে নোটিশ দিয়ে হাজির হতে বলা হলো? সাংবাদিকরাতো সংবাদ প্রকাশই করে ফেলেছেন, তা তদন্ত করুন। সত্য মিথ্যা যাচাই করুন। সংবাদের ব্যাপারে কারো কোনো আপত্তি থাকলে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের স্মরনাপন্ন কিংবা সংশ্লিষ্ট ধারায় আদালতে অভিযোগ করতে পারেন। সাংবাদিকরা আজকের ঘটনা তদন্ত করে কালকেই সংবাদ প্রকাশ করে ফেলেন। অন্যসব দপ্তরের মত বছরের পর বছর ফাইল অাটকে সাংবাদিকরা অনৈতিক দাবি করেন না। 

আমরা মনে করছি, গণমাধ্যমকে কোনঠাসা করতেই প্রশাসনেরই যত আয়োজন। মনে রাখবেন গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আর আপনারা সেই রাষ্ট্রের পাহারাদার। এটি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। যা ইচ্ছে তা করার সুযোগ নেই। তাইতো ওসি প্রদীপদের হাতে আজ হাতকড়া। এটি কেবলই বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও তাঁরকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কারনেই তা সম্ভব হয়েছে।

তাই আসুন, আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট। তাই শপথ নিন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনারবাংলা সত্যিকার প্রতিষ্ঠা করতে সাংবাদিক নির্যাতনমুক্ত একটি আগামির বাংলাদেশের বিকল্প নেই। 

লেখক: আহমেদ আবু জাফর, প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ও সমন্বয়কারী, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, ১৫ আগস্ট ২০২০ যোগাযোগ: ০১৭১২৩০৬৫০১।

Tuesday, 14 July 2020

বিএমএসএফ'র জন্মদিনের শুভেচ্ছা




নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে বিএমএসএফ ১৫ জুলাই ৮ পেরিয়ে নয় বছরে পদার্পণ করেছে। পথচলার এই শুভক্ষণে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে দেশবাসী, প্রিয় সহযোদ্ধা সাংবাদিক বন্ধুদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানাই। যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে তাদের প্রতি রইল হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।
প্রিয় সাংবাদিক সহযোদ্ধা বন্ধুগণ। আপনারা বিএমএসএফ এর ১৪ দফা দাবির প্রতি বিশ্বাস রাখুন। সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকুন। এই ১৪ দফা দাবি একজন সাংবাদিকের পেটের ক্ষুধা কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা রক্ষাকবচ।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম পাইলট এবং প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর দেশের সকল সাংবাদিকদের এই ক্রান্তিকালে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানিয়েছেন।
বিএমএসএফ এর নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিকদের দাবি এবং অধিকার আদায়ে ১৪ দফা দাবির কোন বিকল্প নেই। এই ১৪ দফা দাবিই হতে পারে সাংবাদিকদের আগামী দিনের একমাত্র অবলম্বন।
এবছর মহামারী করোনার কারনে বিএমএসএফ এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীরর সকল আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত রাখা হয়েছে। বিএমএসএফ এর বিগত ৮বছরের এই পথ চলায় সারা বাংলাদেশের ১৫ হাজার সংবাদকর্মী, তিন শতাধিক জেলা-উপজেলা় শাখা এবং পাঁচটি বৈদেশিক শাখার মাধ্যমে বিএমএসএফ পরিচালিত হচ্ছে।
২০১৩ সালের সালের ১৫ জুলাই সারাদেশের সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। ধীরে ধীরে সংগঠনটি আজ হাজার হাজার সাংবাদিকদের প্রাণের সংগঠনের রূপ নিয়েছে। বিএমএসএফ আজ সাংবাদিকদের আস্থার প্রতীক। নির্যাতিত সাংবাদিকদের ভরসাস্থল। যেখানে নির্যাতন সেখানেই বিএমএসএফ।
ইতিমধ্যে বিএমএসএফ এর চৌদ্দ দফার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সংগঠন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি এবং বিভিন্ন সংগঠন এই চৌদ্দ দফা কে সমর্থন করে। বিএমএসএফ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নের দাবি করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নের কাজ হাতে নিয়েছে। দাবি করা হচ্ছে সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়নের। এই নিয়োগ নীতিমালা প্রণীত হলে হলুদ কিংবা অপসাংবাদিকতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল সংস্কার বিএমএসএফ এর অন্যতম একটি দাবি।
এবছর বিএমএসএফ’র সকল শাখাকে শুধু গাছ লাগাতে সকল শাখাসমুহের নেতৃবৃন্দকে আহবান জানানো হয়েছে।
আসুন, আমরা বিএমএসএফ এর পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হই়। ঘুনে ধরা এই গণমাধ্যম অঙ্গনকে ঢেলে সাজাই। বিএমএসএফ’র সাথেই থাকুন। বিজয় আমাদের হবেই হবে। যদি লক্ষ্য থাকে অটুট তবে দেখা হবে বিজয়ে…

Saturday, 16 May 2020

সরকারী-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পিআরও পদে প্রকৃত সাংবাদিক নিয়োগ করতে হবে


পিআরও কি? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত দুদিন আগে এই সংক্রান্ত একটি পোষ্ট করায় কমেন্টস ও ইনবক্সে পিআরও সম্পর্কে কেউ কেউ জানতে চেয়েছেন। পিআরও হচ্ছে পাবলিক রিলেশন অফিসার কিংবা জনসংযোগ কর্মকর্তা ।
সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমুহে জনগুরুত্বপূর্ন পদ এটি। সাংবাদিকরাই এই খন্ডকালীন কাজে নিয়োগ পাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে তার উল্টো। পদটিতে নিয়োগ প্রদান করা হলে সারাদেশে কয়েক হাজার সাংবাদিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হতো বলে বিএমএসএফ মনে করছে।
যেভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আইনী জটিলতা এড়াতে আইনজীবিদের লিগ্যাল এ্যাডভাইজার হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তেমনি জনগন ও মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ত রাখতে সাংবাদিকদের মধ্য থেকে পিআরও নিয়োগের বিধান রয়েছে।
ধরুন, একজন সাংবাদিক হবেন এমপি, মেয়র, চেয়ারম্যান কিংবা কোন কোম্পানীর পিআরও। চলমান ব্যবস্থাপনায় এখনও কিছু কিছু এলাকায় এসব নেতাদের কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে কাজ করছেন। সেক্ষেত্রে কোথাও কোথাও দালালখ্যাতি পেয়েছেন অনেকে। যদি একই কাজ নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় করা হয় তবে এটি পেশাগত কাজ বলেও বিবেচিত হবে।
কিন্তু কালক্রমে সাংবাদিকদের জন্য নির্ধারিত এইপদটিতে ভিন্নপেশার লোকজন অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে। শতকরা ৫ ভাগ সাংবাদিকও পেশাটিতে নেই।
প্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু দূর্ণীতিবাজরা সাংবাদিকদের কাছ থেকে দূরে থাকতে সাধারণ কোটা থেকেই পদটিতে নিয়োগ দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। আবারো তৃণমূল থেকে সাংবাদিকরা সক্রিয় হলে ফিরে আসতে পারে পেশার আধিপত্য।
দেশের প্রতিষ্ঠান গুলোতে পিআরও পদে প্রকৃত সাংবাদিক নিয়োগ করা হলে সম্মানজনক বেতনে কাজ করতে পারবে দেশের কয়েক হাজার সাংবাদিক। পিআরও কেবলমাত্র সরকারী প্রতিষ্ঠানেই নয়। বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে জনগনের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্যসব পদের মত এই পদটিতে সাংবাদিককে পিআরও হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ২০১৩ সাল থেকে দাবিটি বাস্তবায়নের জন্য দেশব্যাপী জনমত তৈরী করে চলছে। ইতিমধ্যে এই দাবিটি বাস্তবায়নের জন্য দেশের সাংবাদিকরা ঐক্যমত পোষন করে কাজ করছে। দাবিটি বাস্তবায়নে সাংবাদিকদের প্রয়োজন সজাগ-সচেতন থাকা। মনে রাখতে হবে, সাংবাদিকের নিজস্ব এই পদটি আজ অন্য পেশার লোকের দখলে।
লেখক: আহমেদ আবু জাফর, সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম- বিএমএসএফ, কেন্দ্রীয় কমিটি ০১৭১২৩০৬৫০১, মে ১৬, ২০২০ খ্রী:।

Tuesday, 12 May 2020

কানাইঘাটে আরো ওএকজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত,,

 কানাইঘাটে
আরোও একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে কানাইঘাটে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩ জনে। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি ৮নং ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়নের নারাইনপুর গ্রামে।

মঙ্গলবার কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. শেখ শরফুদ্দিন নাহিদ  বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এ ব্যাপারে ৮ নং ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অাব্বাস উদ্দিন বলেন, অাক্রান্ত ব্যক্তি হবিগঞ্জ ফেরত মাসুক উদ্দিন আগফৌদ নারাইনপুর গ্রামের মৃত আরজান আলীর পুত্র। তিনি হবিগঞ্জ ধান কাটতে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি বাড়ীতে অাসেন।

এর আগে উপজেলার ৭নং দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের লামারতালুক গ্রামের ফারুক আহমদ নামের এক ব্যক্তির করোনা পজেটিভ আসলে তার বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

এদিকে, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের কানাইঘাটের আহমদ হোসেন নামের এক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি কানাইঘাট থানার একটি হত্যা মামলায় গত দুই মাস ধরে জেল-হাজতে ছিলেন। মৃত ব্যক্তি উপজেলার বানীগ্রাম ইউপির গড়াইগ্রামের মৃত আয়ুব আলীর পুত্র।

কানাইঘাটে আরো একজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত,,

কানাইঘাটে  আরো
ও একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে কানাইঘাটে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩ জনে। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি ৮নং ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়নের নারাইনপুর গ্রামে।

মঙ্গলবার কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. শেখ শরফুদ্দিন নাহিদ  বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এ ব্যাপারে ৮ নং ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অাব্বাস উদ্দিন বলেন, অাক্রান্ত ব্যক্তি হবিগঞ্জ ফেরত মাসুক উদ্দিন আগফৌদ নারাইনপুর গ্রামের মৃত আরজান আলীর পুত্র। তিনি হবিগঞ্জ ধান কাটতে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি বাড়ীতে অাসেন।

এর আগে উপজেলার ৭নং দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের লামারতালুক গ্রামের ফারুক আহমদ নামের এক ব্যক্তির করোনা পজেটিভ আসলে তার বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

এদিকে, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের কানাইঘাটের আহমদ হোসেন নামের এক ব্যাক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি কানাইঘাট থানার একটি হত্যা মামলায় গত দুই মাস ধরে জেল-হাজতে ছিলেন। মৃত ব্যক্তি উপজেলার বানীগ্রাম ইউপির গড়াইগ্রামের মৃত আয়ুব আলীর পুত্র।

Tuesday, 5 May 2020

'মিস্ত্রি বাড়ি ঘর বনাম সাংবাদিকের অধিকার-আহমেদ আবু জাফর


৯৬ সালে আমানউল্লাহ আমান শ্রম প্রতিমন্ত্রী হয়ে প্রথমে সাংবাদিকদের শ্রম আইনের অধীনে নিয়ে কাজটি ভাল করে যাননি।
৪৯ বছর সময়ে দাঁড়িয়ে কখনো সাংবাদিকেরা তথ্য মন্ত্রণালয়, কখনো শ্রম মন্ত্রণালয়ের আওতায়। কী এক আজব দেশ! আসলে এই পেশার সাথে জড়িত দেশের কয়েক হাজার সাংবাদিক আজো খুঁজে পেলোনা তাদের আপন নিবাস।
যেমন: শিক্ষকরা শিক্ষা অধিদপ্তর, কৃষকরা কৃষি অধিদপ্তরে, চৌকিদার- পুলিশেরা স্বরাষ্ট্র, ডাক্তাররা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এমনকি ইমামরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সাথে সম্পৃক্ত । প্রশ্ন রইলো সাংবাদিকরা কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন?
জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ (১-৭ মে) চলাকালে আপনিও সাংবাদিকদের অধিকার, মর্যাদা ও দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকুন। সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে শপথ নিন। নিরাপদ সাংবাদিকতার পরিবেশ গড়ে তুলতে পরিকল্পনা ও কৌশল সংগ্রহ করুন।
জানেনতো, সমাজের সকল পেশাজীবীরা আপনারা/ সাংবাদিকদের লেখনী দিয়ে দাবি আদায় করে ঘরে ফিরে গেছেন। বিষয়টি যেমন মিস্ত্রি বাড়ি ঘর ওঠেনা অনেকটা সেরকম।
আপনি সাংবাদিক। তাই নিজ নিজ এলাকায় পেশাগত ঐক্যবদ্ধ থাকুন। বিএমএসএফ'র ১৪ দফা বাস্তবায়নের জন্য আপনার এলাকায় সকলকে নিয়ে কমিটি করুন। আপনি অন্য সংগঠন করেন সমস্যা নেই। বিএমএসএফ সকল সাংবাদিকের কথা বলে।
আপনার এলাকায় পেশার সাথে বিরোধীর তালিকা তৈরী করুন। নিজ আইডিতে অন্তত সাংবাদিকদের দাবি অধিকার নিয়ে আপনিও দু কলম লিখুন...
আপনি সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে নতুন প্রজন্মের সাংবাদিককে অন্তত স্নেহ করতে শিখুন। এমনটি শুরু করলে জুনিয়ররা আপনাকে ভক্তি শুরু করবে। দয়া করে পেশাটিকে আর কলংকিত না করে পেশাটি রক্ষায় আন্তরিক হোন।
বিএমএসএফ'র পাশে থাকুন- সাংবাদিকদের ভালবাসুন...।
আহমেদ আবু জাফর, সাধারণ সম্পাদক, বিএমএসএফ, কেন্দ্রীয় কমিটি ০১৭১২৩০৬৫০১। ৫ মে ২০২০।

Monday, 13 April 2020

করোনা ভাইরাসের টিকার জন্য অপেক্ষা ১০ মাস

আন্তজার্তিক:জার্মানিতে করোনায় একদিনে আরও ১৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩০ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার।
জার্মানিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, ৬২ হাজারেরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে গেছেন।
এদিকে জার্মানের একটি ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাসের টিকা তৈরি কাজ করে যাচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী জুন-জুলাইয়ে যে কোন একটি প্রাণীর উপর সেটি পরীক্ষা করা হবে।
এর পরে ১০০ মানুষের উপর এর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারিতে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে এই টিকা। এমনটাই জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে, ধীর গতিতে কাজ অগ্রগতির কারণে এখানে ৮০ মিলিয়ন ইউরো দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এবং ১৪ কোটি ইউরো দিচ্ছে জার্মান সরকার।

Saturday, 11 April 2020

করোনায় নামাজের ব্যাপারে মুসলিম দেশগুলো যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে

ইসলামিক:প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ঠেকাতে ফতোয়া জারি করে সরকারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতেও দেখা যাচ্ছে একই চিত্র। ফতোয়া জারি করে সরকারগুলোকে সহযোগিতা করছে ধর্মীয় সংস্থাগুলো।

মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্তটি নেয় সৌদি আরব, মক্কায় ওমরাহ বন্ধ করে দেয়ার মধ্য দিয়ে।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নানা দেশে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কিছু সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। সামাজিক মেলামেশার ক্ষেত্রে আরোপ করা হয়েছে বিধিনিষেধ। অফিস, দোকানপাট, রেস্টুরেন্ট, ক্লাব, শপিংমল থেকে শুরু করে বড় জমায়েত হয় এমন সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেই বিধিনিষেধের আওতায় পড়েছে মসজিদের জামায়াতে নামাজ আদায়। ইউরোপ-আমেরিকায় তো বটেই আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলোও বাদ পড়ছে না।

পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ইন্দোনেশিয়া থেকে শুরু করে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলো নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। কোথাও কোথাও সরকার নয়, বরং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এসব বিধিনিষেধের দায়িত্ব নিয়েছে৷

আফগানিস্তান

নামাজের জন্য মসজিদে না যেতে ফতোয়া জারি করেছেন আফগানিস্তানের ধর্মীয় নেতারা, এমনটি জানিয়েছে দেশটির অন্যতম টিভি চ্যানেল টোলো নিউজ। দেশটির উলামা হাই কমিশন এই ফতোয়া জারি করেছে। কমিশন এর কারণ হিসেবে বলেছে, আফগানিস্তান নতুন করোনাভাইরাসটি থেকে পুরোপুরি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জমায়েত বন্ধ থাকবে।

এর আগে, দেশটির হজ ও ধর্ম মন্ত্রণালয় মসজিদে জুমা ও অন্য নামাজের জামাতে লোকজনের জমায়েত নিষিদ্ধ করে। মন্ত্রণালয় ও কমিশনের সদস্যরা সবাইকে ঘরে নামাজ পড়ার আহ্বান জানান। ধর্মীয় নেতারা বলেন, কোরআন ও হাদিসের আলোকে স্বাস্থ্যগত দিক চিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে।

এমনকি ফতোয়ায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে মৃতের সৎকারেও কম মানুষের উপস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার করার কথা বলা হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়া

সবচেয়ে বড় মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ইন্দোনেশিয়া। সেখানে সরকার সরাসরি কোন নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। কিন্তু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এরইমধ্যে সেই কাজটি করছে। দেশটির সবচেয়ে বড় ইসলামি সংগঠন নাহদলাতুল উলামা করোনার বিস্তার রোধে ফতোয়া জারি করেছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টিভি ওয়ানে সংস্থাটির র পরিচালক ড. সাইদ আকিল সিরোজ বলেছেন, ‘করোনার বিস্তার ঠেকাতে আমরা সব মুসলিমের কাছে এ আহ্বান জানাই, আপনারা জুমা ও তারাবির নামাজ এবং ঈদ উল ফিতরের সব উদযাপন ঘরে বসে করুন।

কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা পেতে নাহদলাতুল উলামার ফতোয়া কাউন্সিল কিছু ধর্মীয় নির্দেশনা প্রকাশ করেছে। সেসব রীতিমালা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেখানে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের দাফন কেমন করে করা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত বলা রয়েছে।

ভারত

মার্চে ভারতের একেকটি রাজ্য সরকার এক এক করে করোনা মোকাবেলায় সামাজিক জমায়েতের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করতে থাকে।

দিল্লিতে বিধিনিষেধ আরোপের আগে নিজামুদ্দিন এলাকায় তাবলিগ জামাতের ধর্মীয় জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশ নেন প্রায় দুই হাজার তাবলিগ অনুসারী। এদের মধ্যে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হন এবং মারাও যান।

দিল্লি সরকার ১৬ মার্চ প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে ৫০ জনের বেশি মানুষ জড়ো হওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, যা পরবর্তীতে কমিয়ে পাঁচজনে নামিয়ে আনা হয়। মোটামুটি সারাদেশেই একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি জমায়েত হতে পারবেন না বলে নিয়ম করে দেয়া হয়েছে। আলাদা করে না হলেও এই বিধিনিষেধ ধর্মীয় জমায়েতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। জনগণ এই বিধিনিষেধ মানছেন কি না তা দেখতে রাস্তায় পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী রয়েছে।

পাকিস্তান

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মসজিদে জড়ো হওয়ার সংখ্যা সীমিত করার কথা বলেছেন। দেশটির ইসলামিক আদর্শ কাউন্সিল সবাইকে বাসায় থাকার পরামর্শ দিয়েছে। ঘরেই নামাজ আদায়ের কথা বলেছে। কোন কোন প্রদেশ নিজ দায়িত্বে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। যেমন, দক্ষিণাঞ্চলের সিন্ধ প্রদেশে গেল শুক্রবার জুমার নামাজে মানুষের আসা ঠেকাতে দুপুর বারটা থেকে তিনটা পর্যন্ত পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এ সময় রাস্তায় যে কাউকে দেখলেই গ্রেফতার করা হয়।

পাঞ্জাব প্রদেশে, যেখানে দেশটির ২২ কোটি জনগণের ৬০ ভাগের বাস, বড় শহরগুলোর মোড়ে মোড়ে চেকপয়েন্ট বসানো হয়েছে, যেন মানুষ জড়ো হতে না পারেন। তারপরও সেখানে মানুষ কথা শুনছেন না। অনেক ধর্মীয় নেতা এখনো লকডাউনের বিপক্ষে কথা বলে যাচ্ছেন। খবর'র এপি।


বাংলাদেশ

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে মুসল্লিদের ঘরে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সোমবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদেরও ঘরে উপাসনার নির্দেশ দেয়া হয়। শুধু মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন আর খাদেমরা মসজিদে নামাজ আদায় করবেন। বাইরের মুসল্লিরা কেউ মসজিদে জামাতে অংশ নিতে পারবেন না।

সংখ্যার হিসেবে বলা হয়েছে, জুম্মার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জন এবং দৈনিক পাঁচওয়াক্ত নামাজে সর্বোচ্চ পাঁচজন উপস্থিত হতে পারবেন। কেউ এই নির্দেশ অমান্য করে মসজিদে নামাজ পড়লে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবস্থা নেবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এছাড়া অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদেরও উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসায় উপাসনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডেশন শবে বরাতের রাতে বাসায় বসে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছে৷

মধ্যপ্রাচ্যে আরো আগে থেকে

ইরানে কোভিড-১৯ ভাইরাসটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর সতর্ক হয়ে গেছে মধ্যপ্রাচ্য। তারা নানাভাবে বড় সমাবেশ বা জমায়েত বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে শুরু করে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্তটি নেয় সৌদি আরব, মক্কায় ওমরাহ বন্ধ করে দেয়ার মধ্য দিয়ে৷ একে একে মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোও উদ্যোগ নিতে শুরু করে৷

কুয়েতে আযানের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন এনে ঘরে বসে নামাজ আদায়ের কথা বলা হয়৷ এমন বিরল ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ঐতিহাসিক উদাহরণকে অনুসরণ করা হয়েছে বলে বলা হয়।

ইরাকের গ্র্যান্ড আয়াতোল্লাহ আলি আল-সিস্তানি এ বিষয়ে বলেন, পেশাদার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ধর্মীয় দায়িত্ব। তুরস্কের ধর্ম বিভাগের প্রেসিডেন্ট আলি এরবাস মহামারী থেকে বাঁচতে মহানবীর শিক্ষাকে অনুসরণ করার কথা বলেন।

মিশর রমজান মাসে যে কোন ধর্মীয় সমাবেশ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এমনকি ইফতার পার্টি বা জমায়েত করা যাবে না বলে জানিয়েছে তাদের ধর্ম মন্ত্রণালয়। সূত্র : ডয়চে ভেলে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ঠেকাতে ফতোয়া জারি করে সরকারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতেও দেখা যাচ্ছে একই চিত্র। ফতোয়া জারি করে সরকারগুলোকে সহযোগিতা করছে ধর্মীয় সংস্থাগুলো। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্তটি নেয় সৌদি আরব, মক্কায় ওমরাহ বন্ধ করে দেয়ার মধ্য দিয়ে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নানা দেশে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কিছু সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। সামাজিক মেলামেশার ক্ষেত্রে আরোপ করা হয়েছে বিধিনিষেধ। অফিস, দোকানপাট, রেস্টুরেন্ট, ক্লাব, শপিংমল থেকে শুরু করে বড় জমায়েত হয় এমন সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেই বিধিনিষেধের আওতায় পড়েছে মসজিদের জামায়াতে নামাজ আদায়। ইউরোপ-আমেরিকায় তো বটেই আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলোও বাদ পড়ছে না। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ইন্দোনেশিয়া থেকে শুরু করে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলো নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। কোথাও কোথাও সরকার নয়, বরং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এসব বিধিনিষেধের দায়িত্ব নিয়েছে৷ আফগানিস্তান নামাজের জন্য মসজিদে না যেতে ফতোয়া জারি করেছেন আফগানিস্তানের ধর্মীয় নেতারা, এমনটি জানিয়েছে দেশটির অন্যতম টিভি চ্যানেল টোলো নিউজ। দেশটির উলামা হাই কমিশন এই ফতোয়া জারি করেছে। কমিশন এর কারণ হিসেবে বলেছে, আফগানিস্তান নতুন করোনাভাইরাসটি থেকে পুরোপুরি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জমায়েত বন্ধ থাকবে। এর আগে, দেশটির হজ ও ধর্ম মন্ত্রণালয় মসজিদে জুমা ও অন্য নামাজের জামাতে লোকজনের জমায়েত নিষিদ্ধ করে। মন্ত্রণালয় ও কমিশনের সদস্যরা সবাইকে ঘরে নামাজ পড়ার আহ্বান জানান। ধর্মীয় নেতারা বলেন, কোরআন ও হাদিসের আলোকে স্বাস্থ্যগত দিক চিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। এমনকি ফতোয়ায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে মৃতের সৎকারেও কম মানুষের উপস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার করার কথা বলা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া সবচেয়ে বড় মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ইন্দোনেশিয়া। সেখানে সরকার সরাসরি কোন নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। কিন্তু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এরইমধ্যে সেই কাজটি করছে। দেশটির সবচেয়ে বড় ইসলামি সংগঠন নাহদলাতুল উলামা করোনার বিস্তার রোধে ফতোয়া জারি করেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টিভি ওয়ানে সংস্থাটির র পরিচালক ড. সাইদ আকিল সিরোজ বলেছেন, ‘করোনার বিস্তার ঠেকাতে আমরা সব মুসলিমের কাছে এ আহ্বান জানাই, আপনারা জুমা ও তারাবির নামাজ এবং ঈদ উল ফিতরের সব উদযাপন ঘরে বসে করুন। কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা পেতে নাহদলাতুল উলামার ফতোয়া কাউন্সিল কিছু ধর্মীয় নির্দেশনা প্রকাশ করেছে। সেসব রীতিমালা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেখানে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের দাফন কেমন করে করা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত বলা রয়েছে। ভারত মার্চে ভারতের একেকটি রাজ্য সরকার এক এক করে করোনা মোকাবেলায় সামাজিক জমায়েতের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করতে থাকে। দিল্লিতে বিধিনিষেধ আরোপের আগে নিজামুদ্দিন এলাকায় তাবলিগ জামাতের ধর্মীয় জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশ নেন প্রায় দুই হাজার তাবলিগ অনুসারী। এদের মধ্যে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হন এবং মারাও যান। দিল্লি সরকার ১৬ মার্চ প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে ৫০ জনের বেশি মানুষ জড়ো হওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, যা পরবর্তীতে কমিয়ে পাঁচজনে নামিয়ে আনা হয়। মোটামুটি সারাদেশেই একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি জমায়েত হতে পারবেন না বলে নিয়ম করে দেয়া হয়েছে। আলাদা করে না হলেও এই বিধিনিষেধ ধর্মীয় জমায়েতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। জনগণ এই বিধিনিষেধ মানছেন কি না তা দেখতে রাস্তায় পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী রয়েছে। পাকিস্তান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মসজিদে জড়ো হওয়ার সংখ্যা সীমিত করার কথা বলেছেন। দেশটির ইসলামিক আদর্শ কাউন্সিল সবাইকে বাসায় থাকার পরামর্শ দিয়েছে। ঘরেই নামাজ আদায়ের কথা বলেছে। কোন কোন প্রদেশ নিজ দায়িত্বে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। যেমন, দক্ষিণাঞ্চলের সিন্ধ প্রদেশে গেল শুক্রবার জুমার নামাজে মানুষের আসা ঠেকাতে দুপুর বারটা থেকে তিনটা পর্যন্ত পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এ সময় রাস্তায় যে কাউকে দেখলেই গ্রেফতার করা হয়।  পাঞ্জাব প্রদেশে, যেখানে দেশটির ২২ কোটি জনগণের ৬০ ভাগের বাস, বড় শহরগুলোর মোড়ে মোড়ে চেকপয়েন্ট বসানো হয়েছে, যেন মানুষ জড়ো হতে না পারেন। তারপরও সেখানে মানুষ কথা শুনছেন না। অনেক ধর্মীয় নেতা এখনো লকডাউনের বিপক্ষে কথা বলে যাচ্ছেন। খবর'র এপি। বাংলাদেশ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে মুসল্লিদের ঘরে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সোমবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদেরও ঘরে উপাসনার নির্দেশ দেয়া হয়। শুধু মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন আর খাদেমরা মসজিদে নামাজ আদায় করবেন। বাইরের মুসল্লিরা কেউ মসজিদে জামাতে অংশ নিতে পারবেন না। সংখ্যার হিসেবে বলা হয়েছে, জুম্মার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জন এবং দৈনিক পাঁচওয়াক্ত নামাজে সর্বোচ্চ পাঁচজন উপস্থিত হতে পারবেন। কেউ এই নির্দেশ অমান্য করে মসজিদে নামাজ পড়লে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবস্থা নেবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এছাড়া অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদেরও উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসায় উপাসনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডেশন শবে বরাতের রাতে বাসায় বসে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছে৷ মধ্যপ্রাচ্যে আরো আগে থেকে ইরানে কোভিড-১৯ ভাইরাসটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর সতর্ক হয়ে গেছে মধ্যপ্রাচ্য। তারা নানাভাবে বড় সমাবেশ বা জমায়েত বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে শুরু করে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্তটি নেয় সৌদি আরব, মক্কায় ওমরাহ বন্ধ করে দেয়ার মধ্য দিয়ে৷ একে একে মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোও উদ্যোগ নিতে শুরু করে৷ কুয়েতে আযানের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন এনে ঘরে বসে নামাজ আদায়ের কথা বলা হয়৷ এমন বিরল ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ঐতিহাসিক উদাহরণকে অনুসরণ করা হয়েছে বলে বলা হয়। ইরাকের গ্র্যান্ড আয়াতোল্লাহ আলি আল-সিস্তানি এ বিষয়ে বলেন, পেশাদার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ধর্মীয় দায়িত্ব। তুরস্কের ধর্ম বিভাগের প্রেসিডেন্ট আলি এরবাস মহামারী থেকে বাঁচতে মহানবীর শিক্ষাকে অনুসরণ করার কথা বলেন। মিশর রমজান মাসে যে কোন ধর্মীয় সমাবেশ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এমনকি ইফতার পার্টি বা জমায়েত করা যাবে না বলে জানিয়েছে তাদের ধর্ম মন্ত্রণালয়। সূত্র : ডয়চে ভেলে

বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফরকে মোবাইল ফোনে হুমকি

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফরকে মোবাইল ফোনে হুমকি প্রদান করেছে। আজ শুক্রবার রাত ৮টা ১৮ মিনিটে ০১৬৪৮১০৯১১২ নাম্বার থেকে তার ০১৭১২৩০৬৫০১ ব্যবহৃত নাম্বারে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে জীবননাশের হুমকি প্রদান করে। ৪৯ সেকেন্ডের এ কথোপকথনে হুমকিদাতা নানা অশালীন কথাবার্তা বলে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

জনাব আবু জাফর জানান, সম্প্রতি দেশে অব্যাহত সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় বিএমএসএফ নানাভাবে প্রতিবাদ করে আসছে। এ কারনে হয়তো কোন পক্ষ তাকে হুমকি দিতে পারেন। বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হচ্ছে।
এ ঘটনায়  বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হুমকিদাতাকে খুঁজে বের করার জন্য প্রশাসনের নিকট আহবান জানানো হয়। বর্তমানে তিনি মহামারী করোনা ইস্যুতে নিজ জেলা ঝালকাঠিতে অবস্থান করছেন।
তিনি স্থানীয় গণমানুষের সংগঠন ঝালকাঠি নাগরিক ফোরামেরও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
বিএমএসএফ'র পক্ষ থেকেনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

Thursday, 9 April 2020

করোনা কেড়ে নিল অলিম্পিক ফাইনালিস্টের প্রাণ

খেলার সংবাদ:প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সঙ্গে দৌড়ে জিততে পারলেন না ইতালির দৌড়বিদ, অলিম্পিক ফাইনালিস্ট দোনাতো সাবিয়া।
করোনার কাছে হার মেনে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হলো এই এথলেটকে।
করোনা কেড়ে নিল অলিম্পিক ফাইনালিস্টের প্রাণ

করোনায় বিধ্বস্ত ইতালিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে বুধবার নিশ্চিত করেছে ইতালিয়ান অলিম্পিক কমিটি।
এক বিবৃতিতে ইতালিয়ান অলিম্পিক কমিটি জানায়, চলমান করোনা বিস্তারের মাঝে আক্রান্ত হন দৌড়বিদ সাবিয়া। এরপর তাকে পোটেনজার সান কারলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেশ কয়েকদিন ধরে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল তাকে। বুধবার মারা যান সাবিয়া। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তার মৃত্যুতে অলিম্পিক কমিটি গভীর শোক প্রকাশ করছে।
কয়েকদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাবিয়ার বাবাও মারা যান বলে জানিয়েছে ইতালিয়ান অলিম্পিক কমিটি।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম কোনা অলিম্পিয়ান মারা গেলেন।
১৯৮৪ সালে ইউরোপিয়ান ইনডোর চ্যাম্পিয়নশিপে ৮০০ মিটারে স্বর্ণ জিতেছিলেন সাবিয়া। ইতালির হয়ে দুইবার অলিম্পিকের চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিতে পেরেছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালের লস এঞ্জেলস অলিম্পিকে ৮০০ মিটারের ইভেন্টে পঞ্চম হয়েছিলেন। পরের আসরে সপ্তম হন।
করোনার থাবায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত গোটা ইতালি। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪২২ জন। মারা গেছেন ১৭ হাজার ৬৬৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৬ হাজার ৪৯১ জন।