Wikipedia

Search results

Monday, 31 August 2020

৭নংইউপিকে  মাদক,সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত মডেল  হিসাবে গড়ে তুলতে চানঃসম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী  বাবুল রানা চৌঃ,,

 মুফিজুর রহমান নাহিদ সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধিঃআসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কানাইঘাট উপজেলার ৭নং দক্ষিণ বাণিগ্রাম ইউনিয়নে উৎসবমুখর পরিবেশে সৃষ্টি হয়ছে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে জনগণের উৎবে আর উৎকণ্ঠা ততই বাড়ছে।

সিলেটের কানাইঘাট  উপজেলার ৭নং দক্ষিণ বাণিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ঘোষণা দিয়েছেন কানাইঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সিনিয়র সদস্য, সমাজ সেবক, গরিব -দুঃখী মেহনতি মানুষের বন্ধু,বাবুল রানা চৌধুরি। তিনি জানান- আমি আগামী  ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭নং বাণিগ্রাম ইউনিয়নে নির্বাচন করব। ৭নং দক্ষিণ বাণিগ্রাম  ইউনিয়নকে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তুলবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমি দক্ষিণ বাণিগ্রাম ইউনিয়নবাসীর ভালবাসা নিয়ে দীর্ঘদিন আওয়ামী রাজনীতি করে মানুষের সেবা করে আসছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আজ উন্নয়নের জোয়ার বইছে। তিনি আরো বলেন, ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সাধারণ মানুষের সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। প্রতিটি নির্বাচনে ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে সুসংগঠিত রয়েছি। এজন্য চেয়ারম্যান পদে আমি দলের সমর্থন চাইবো।

তিনি ৭নংদক্ষিণ বাণিগ্রাম ইউনিয়নবাসির সহযোগিতা কামনা করেছেন। সাথে সাথে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে ইউনিয়নবাসির কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। এছাড়াও তিনি এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন। এলাকায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।প্রবাস জীবনের শুরু থেকে তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততার পাশাপাশি প্রবাসী ৭নং দক্ষিণ বাণিগ্রাম ইউনিয়ন বাসির সুখ – দুঃখে সর্বদা পাশে রয়েছেন। কিন্তুু  বাবুল রানা চৌধুরিপ্রবাসে তার কার্যক্রম কে থেমে রাখেন নি , তিনি সুযোগ পেলেই চলে যান নিজ এলাকা ৭নং দক্ষিণ বাণিগ্রামে ইউনিয়নে  । সেখানকার মানুষের সুখ দুঃখ হাসি কান্না কে তিনি আপন চিত্তে গ্রহন করে তাদের সেবা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । তিনি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও দলীয় কর্মকান্ড সহ একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন দলীয় নেতাকর্মি সহ সাধারন মানুষের সাথে মতবিনিময় ও গনসংযোগ করে যাচ্ছেন।এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেল। আমি নির্বাচিত হতে পারলে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা মূলক গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন তথা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তাঘাট, কালভাট, মসজিদ মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেকার যুবক যুবতীদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলার কাজ করব। নারী ও শিশু নির্যাতন, পাচার, এসিড সন্ত্রাস, বাল্য বিবাহ এবং মাদক, চোরাচালানের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলবো। সর্বপরি সকলের সহযোগীতায় ৭নং দক্ষিণ বাণিগ্রাম ইউনিয়নকে একটি আলোকিত মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, দল  ও জনগণ আমাকে সমর্থন দিলে এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমি জয়লাভ করব ইনশাআল্লাহ। ৭নং দক্ষিণ বাণিগ্রাম ইউনিয়নের জনগণের প্রতি আমার শতভাগ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে এবং নির্বাচিত হলে জনসাধারণের সকল প্রকার নাগরিক সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।


Saturday, 15 August 2020

সাংবাদিকতার সোর্সকে আজ উলঙ্গ করা হচ্ছে..



আজকাল প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাংবাদিকতার সোর্সকে উলঙ্গ করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের কাছে তথ্য দিলেই সোর্সকে নিরাপত্তাহীন করে তোলা হচ্ছে। যা রীতিমত সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা পরিপন্থী। সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসন সাংবাদিকদের তার সোর্স বা স্বাক্ষীসহ উপস্থিত হয়ে তথ্য প্রদান কিংবা জবাব দিতে প্রস্তুত কিনা সেটিই মূখ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। অহরহ বিভিন্ন জেলায় ধরনের নোটশ সাংবাদিকদের কাছে আসছেই। সম্প্রতি দুদকে অনুরুপ নোটিশ দেয়ারপর সাংবাদিক সংগঠনের তোপের মুখে চিঠি প্রত্যাহার করতেও বাধ্য হয়েছিলেন। 

এ ধরনের কার্যকলাপের তীব্র বিরোধীতা করছে সাংবাদিকদের মর্যাদা ও অধিকার আদায়ের সংগঠন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি। 

গণমাধ্যমকে নিয়ে এসব কী হচ্ছে? দূর্ণীতিবাজরা গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরতেই নিত্য নতুন ফন্দি শুরু করছে দূর্ণীতির বরপুত্ররা ।

 সেটি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ছিল; যখন সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করতো। জনগণ সুফল পেত। আর এখন সংবাদ প্রকাশের পর উল্টো সাংবাদিককে হয়রাণীর জন্য তার সোর্সসহ প্রশাসনের নিকট টাইম টেবিলমত হাজির হতে বলা হয়। যেন সাংবাদিকরা তার অধস্তন চাকরীজীবি।  যা নির্মম দূ:খ এবং হতাশাজনক।

যদ্দুর জানাযায়, সাংবাদিকরা নিশ্চিত মৃত্যুর কাছে হার মানবে অথচ তার সোর্সের নাম প্রকাশ করবেন না। কিন্তু প্রশাসন কি শুরু করলো? নোটিশ দিয়ে সোর্স সহ হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হল লালমনিরহাটের বাংলা নিউজের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি খোরশেদ আলম সাগরকে। যেখানে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করে ওসির ঘুষ গ্রহনের সংবাদের অডিও- ভিডিও ভাইরাল ইতিমধ্যে। তবুও ওসি মাহফুজ আলমকে ঢাকায় ষ্ট্যান্ড রিলিজ করে সম্মান বড় করা হয়েছে। এ ধরনের অপকর্ম করার পর তাকে খাগড়াছড়ি কিংবা বান্দরবানে না পাঠিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে তার ওজন আরেকদফা বাড়িয়ে দেয়া হল নয় কি! জেলা পুলিশ প্রধান আবিদা সুলতানার নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাংবাদিক খোরশেদ আলম সাগরের ব্যক্তিনামে তাকে নোটিশ করা হয়। আগামিকাল ১৬ আগস্ট তাকে তথ্যপ্রমানসহ হাজির হতে বলা হয়।

 তারপরও কেন সাংবাদিকতার মাথা খেতে তার সোর্স আপনার নিকট উপস্থাপন করতে হবে? সাংবাদিকরা আপনার নিকট তার সোর্স উপস্থাপন করতে বাধ্য নন। আপনি প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা যাচাই-বাছাই করুন। পারলে ওসিকে জিজ্ঞাসাবাদ করুন এবং শাস্তি দিন। জানি পারবেন কিনা! কারন তার আয়ের ওপর আপনাকে চলতে হয়। 

অন্যদিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ইত্তেফাক ও মাইটিভি প্রতিনিধি আসাদ উল্লাহ মাদকে সয়লাব গজারিয়া শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশের জেরধরে নারায়নগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো: মোস্তাফিজুর রহমান গত ৪ আগস্ট অনুরুপ একখানা  নোটিশ পাঠিয়েছেন। 
নোটিশ অনুযায়ী তাকে নিজ খরচে কোরবানী ঈদের দুদিন আগে ৮০ কিলোমিটার যানজট ডিঙ্গিয়ে একজন এএসআইর সাথে নারায়নগঞ্জে এবং নরসিংদীতে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। কি আশ্চয্য! অভিযুক্ত পুলিশের সঙ্গে একই টেবিলে সাক্ষ্য দিতে হয়েছিল সাংবাদিক আসাদ উল্লাহকে। পুলিশের পক্ষ থেকে সোর্সের নিরাপত্তার কথা বলা হলেও এখন অদৃশ্য কারনে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে আসাদ বিএমএসএফকে নিশ্চিত করেছেন। অথচ সেই অভিযুক্ত পুলিশের কর্মকর্তারা বহাল তবিয়তেই রয়েছেন। 

এখন প্রশ্ন সংবাদ প্রকাশের পর কেনো সাংবাদিককে নোটিশ দিয়ে হাজির হতে বলা হলো? সাংবাদিকরাতো সংবাদ প্রকাশই করে ফেলেছেন, তা তদন্ত করুন। সত্য মিথ্যা যাচাই করুন। সংবাদের ব্যাপারে কারো কোনো আপত্তি থাকলে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের স্মরনাপন্ন কিংবা সংশ্লিষ্ট ধারায় আদালতে অভিযোগ করতে পারেন। সাংবাদিকরা আজকের ঘটনা তদন্ত করে কালকেই সংবাদ প্রকাশ করে ফেলেন। অন্যসব দপ্তরের মত বছরের পর বছর ফাইল অাটকে সাংবাদিকরা অনৈতিক দাবি করেন না। 

আমরা মনে করছি, গণমাধ্যমকে কোনঠাসা করতেই প্রশাসনেরই যত আয়োজন। মনে রাখবেন গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আর আপনারা সেই রাষ্ট্রের পাহারাদার। এটি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। যা ইচ্ছে তা করার সুযোগ নেই। তাইতো ওসি প্রদীপদের হাতে আজ হাতকড়া। এটি কেবলই বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও তাঁরকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কারনেই তা সম্ভব হয়েছে।

তাই আসুন, আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট। তাই শপথ নিন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনারবাংলা সত্যিকার প্রতিষ্ঠা করতে সাংবাদিক নির্যাতনমুক্ত একটি আগামির বাংলাদেশের বিকল্প নেই। 

লেখক: আহমেদ আবু জাফর, প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ও সমন্বয়কারী, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, ১৫ আগস্ট ২০২০ যোগাযোগ: ০১৭১২৩০৬৫০১।